রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া সরকার পাড়া জামে মসজিদ ও তার ৪০০ গজ পরিসীমার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাফিজুর রহমান ১৪৪ ধারা জারি করেন। মসজিদ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, ভাওড়া সরকার পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দুটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটির পক্ষ থেকে দুজন ইমামও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুই কমিটি ও দুই ইমামের বিষয়ে গ্রামটিতে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছে। সোমবার বাদ এশা মসজিদের ভেতর সভা করে দুই কমিটির পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে পৃথক জামাতের আয়োজন করা হয়। এক কমিটি সকাল সাড়ে ৭টা ও আরেক কমিটি সকাল সাড়ে ৮টায় সময় ঈদের নামাজের সময় নির্ধারণ করেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে রাত ১১ রোটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলম চাঁদ ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন ভাওড়া সরকার পাড়া মসজিদে যান। সেখানে দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে শান্তিপুর্ণ অবস্থায় থেকে এক জামাতে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন। এক পক্ষের সাহাদত হোসেন, লেবু মিয়া ও পিন্টু গং রাজি না হওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রেখে দুই জামাতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনের লোকজন চলে আসার পর ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নামাজকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ (১) ধারার ক্ষমতাবলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান রাত পৌনে ১২টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করেন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি বলবৎ থাকবে। মসজিদ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওয়ার্ড মেম্বার মো. শহিনুর রহমান বলেন, মসজিদ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ভাওড়া নয়াপাড়া মসজিদে গিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছি।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা হোসেন জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।